Saturday, 21 January 2017

ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত কমিশন খায়" বলে মহান উক্তি করেছেন।এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। চান্দিনার বার্তা

ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত "চিকিৎসকরা কমিশন খায়" বলে মহান উক্তি করেছেন।
এতে অনেকেই পুলকিত! অনেকেই ক্ষুব্ধ।
স্বাভাবিক?
নাকি অস্বাভাবিক!
আপনি কোন দলে? মুখ খুলুন।
সব চিকিৎসক ই কি কমিশন খান?
উত্তর অবশ্যই না বাচক।
তা হলে এমন অপমানকর ঢালাও মন্তব্য কেন?
কি স্বার্থে? কার স্বার্থে?

এ দেশে হাজার হাজার সৎ তথা মহৎ তথা ধার্মিক চিকিৎসক আছেন যারা কখনোই কমিশন নেন না কিংবা দেন না। সুযোগ থাকলেও নেন না। বেসিক সাবজেক্ট, শিক্ষকতা কিংবা গবেষণায় যারা আছেন তাদের তো কমিশন নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
ডাঃ প্রাণ গোপাল এ বিশাল চিকিৎসকদের অপমান করে যে কমিশন আদায় করছেন তা কি চিকিৎসক সমাজ বুঝে না?
গুটি কতক চিকিৎসক যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। কারণ, এর মূলেও আপনারাই। তাই, সবাইকে ঢালাও ভাবে অসৎ ভাববেন না; অপমান করবেন না।
মনে রাখবেন আপনিও চিকিৎসক। (নাকি এখন আর নিজেকে চিকিৎসক ভাবেন না)। উপর দিকে থুতু দিলে নিজের গায়েও পড়বে। ভুলে যাবেন না। আর ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই। সময় আসলে কেউ না কেউ মনে করিয়ে দেবেই।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি গ্রফতার

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গ্রফতার করেছে পুলিশ
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। রবিবার সকালে তাকে আমিন বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মীর জামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তরুণী কয়েকদিন আগে মামলাটি করেন। আজই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। সানির প্রথম স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেছেন। সানি তার প্রাক্তন স্ত্রীর কিছু ছবি নতুন করে ফেসবুকে আপলোড করায় মামলা হয়েছে। যতটুকু শুনেছি এমনই ঘটনা।'
বোর্ড সানির পাশে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, 'এটা ওর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আগে আমাদের পুরো ঘটনা জানতে হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। সানির পাশে আমার থাকবো কিনা।'

সত্য প্রকাশে অকুতোভয় "চান্দিনার বার্তা"| সেয়ার করে জানিয়ে দিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ "দালালী নয় সাংবাদিকতাই আমাদের মূল লক্ষ্য" এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পথচলা শুরু করেছে "চান্দিনার বার্তা" অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সত্য গোপন করা নয় বরং সত্য প্রকাশ করাই "চান্দিনার বার্তা"র আসল লক্ষ্য। "চান্দিনার বার্তা" পথচলার শুরু থেকেই নানা ধরনের হুমকি-ধমকি ও সমালোচনার স্বীকার হয়েছে। সত্য অনেকের কাছেই তিক্ত জিনিস তাই বলে সত্য লুকিয়ে সাংবাদিকতা কে দালালী তে পরিণত করা একটি মারাত্মক অপরাধ। প্রকাশকদের অনড় মনোবল ও সম্পাদকের সাহসিকতায় অল্প দিনেই চান্দিনা তে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে "চান্দিনার বার্তা"। তাই সত্য সংবাদ জানতে "চান্দিনার বার্তা" তে চোখ রাখার জন্য আহবান জানান "চান্দিনার বার্তা"র সম্পাদক। সাংবাদিকতার নামে অনেকদিন ধরে চান্দিনার সত্য ঘটনা গুলোকেও ধামাচাপা দিয়ে সংবাদ ও সাংবাদিকতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে চান্দিনা নিউজ, চান্দিনা প্রতিদিন, চান্দিনার সময় (সিএস নিউজ), সিএইচ নিউজ ২৪, চান্দিনার আলো, সিএ নিউজ সহ কয়েকটি নিউজ পোর্টাল। উল্লেখিত নিউজ পোর্টাল গুলো সংবাদ প্রকাশ বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতাদের হয়ে দালালী করতেছে সাংবাদিকতার নামে। তাই এসব দালালী থেকে একদল সাহসী সাংবাদিকের প্রকাশনায় "চান্দিনার বার্তা" পথচলা শুরু করেছে। চান্দিনার যেকোন সংবাদ আমাদের নিকট পাঠিয়ে এবং প্রকাশিত খবর শেয়ার করে "চান্দিনার বার্তা" কে আরো অগ্রগামী করে তুলুন।

Thursday, 19 January 2017

অাশরাফ আউট, প্রাণ গোপাল ইন! চান্দিনার বার্তা: সেয়ার করে জানিয়ে দিন

 চান্দিনা আশিকঃ


কুমিল্লার চান্দিনা আসন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে চলছে নয়া মেরুকরন।ওয়ান ইলেভেনের সময় বর্তমান এমপি অধ্যাপক আলী অাশরাফ সংস্কারপন্থীদের দলে নাম লেখান। সে সময় আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নামেন অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল। পরবর্তীতে নেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পান অধ্যাপক আলী অাশরাফ। নির্বাচনে আলী অাশরাফকে সহযোগিতা করেন ডাঃ প্রান গোপাল। তারই পুরস্কার স্বরুপ নেত্রী ডাঃ প্রান গোপালকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে নিয়োগ দেন। এর পরেই ডাঃ প্রান গোপাল সারা দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তার জনপ্রিয়তায় মাথা খারাপ হয়ে যায় অধ্যাপক আলী অাশরাফের। প্রথমেই প্রানগোপাল পন্থী চান্দিনা উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান মজুমদার রিপনকে কোনঠাসা করেন অধ্যাপক আলী অাশরাফ। অপরদিকে দায়িত্ব পেয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পাল্টে দেন ডা প্রানগোপাল। তাকে পিজির সর্বকালের সেরা ভিসি হিসাবে বিবেচনা করে মানুষ। গায়ে কেউ লাগাতে পারেনি দুর্নীতির তকমা। অধ্যাপক অালী আশরাফ বুঝতে পারেন তার সময় শেষ। সুতরাং তিনি হয়ে উঠেন বেপোরোয়া। নিজের ছেলেকে মাঠে নামান সবকিছু নিয়ন্ত্রন করতে। ছেলের বেপোরোয়া দুর্নীতিতে চান্দিনার সাধারন জনগনতো বটেই আওয়ামী নেতাকর্মীরা ও অতিষ্ঠ। এমপি ও এমপি পুত্র টিটুর রোষানলে পড়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। ইউপি নির্বাচন নিয়ে এমপি পুত্র টিটু করেছেন কোটি টাকার বানিজ্য। চান্দিনার সবচেয়ে বড় ইউনিয়নে রানিং চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে কোটি টাকার বিনিময়ে অন্য আরেকজনকে নমিনেশন দেয় টিটু। পরবর্তীতে ঐ প্রার্থী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট পরাজয় বরন করেন। একই ঘটনা গঠে আরো কয়েকটি ইউনিয়নে। অাওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের মারফতে জানা যায় আগামী নির্বাচনে নমিনেশন না পাওয়া নেতাদের তালিকায় অধ্যাপক আলী আশরাফের নাম রয়েছে। কিকল্প প্রার্থী ক্লিন ইমেজের অধ্যাপক ডাঃ প্রান গোপালকে গ্রিন সিগনাল দিয়েছেন শেখ হাসিনা। যে কারনে তাকে নতুন করে অন্য কোন যায়গায় পদায়ন করা হয়নি। এছাড়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার কথা থাকলেও নেত্রীর ইচ্ছায় অধ্যাপক ডাঃ প্রান গোপালকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সহ সভাপতি হিসাবে রাখা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার আশির্বাদ নিয়ে নৌকার মাঝি হয়ে আসছেন অধ্যাপক ডাঃ প্রান গোপাল।

Wednesday, 18 January 2017

চান্দিনা ও দেবিদ্বার সীমান্তবর্তী আশা জুট মিলে আগুন:চান্দিনার বার্তা:সাবাই শেয়ার কারিন

চান্দিনা প্রতিনিধি।
চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী আশা জুট ইন্ড্রাস্টিজে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন আতাপুর এলাকার ওই মিলটিতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই জুট মিলের কাটিং সেকশানে অগ্নিকান্ডে অন্তত: ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতির ধারণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ও চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বি সিফটের কাজ চলাকালীন সময়ে ব্রেকার গার্ড মেশিনের মটর ঘর্ষন থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে কাটিং পাটের গুদামে আগুন ছড়িয়ে পরে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে জুট মিলের শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
আশা জুট মিলের উর্ধ্বতন মহা ব্যবস্থাপক আলহাজ্জ ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, চান্দিনা উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে আশা জুট মিলে আগুন লাগার সাথে-সাথে আমরা নিকটস্থ চান্দিনা ফায়ার ষ্টেশন থেকে দুটি ইউনিট পাঠালে তারা আধা ঘন্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

Tuesday, 17 January 2017

নিষেধাজ্ঞা মানছে না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ:সেয়ার করে জানিয়ে দিন,,

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মীসভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলার ৪১১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ কর্মীসভার আয়োজন করে।
শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত হওয়ার পর ক্যাম্পাস অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৫৬ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ তম সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল প্রকারের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় ১৭ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মীসভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
সভা-সমাবেশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকাকালীন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে এই ধরনের রাজনৈতিক সভা আয়োজনের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়মানুযায়ী এই কক্ষটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ছাত্রলীগ কিভাবে এই কক্ষটি ব্যবহারের অনুমতি পায় এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার মোঃ মুজিবুর রহমান মজুমদার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে’। তবে ছাত্রলীগের বিষয়ে কথা না বলতে তিনি এই প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন।
ছাত্রলীগের এই কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়্যারম্যান গোলাম সারোয়ার, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম এহতেশাম, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রুদ্র। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর উপস্থাপনায় কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার পরও কর্মীসভার অনুমতি ছিলো কিনা এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের সকলের সমন্বয়ে প্রক্টরিয়াল বডির অনুমতি নিয়ে শিক্ষকদের সহযোগীতায় কর্মীসভার আয়োজন করি। এ ব্যাপারে উপচার্য মহোদয় ও অবগত রয়েছেন’।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মীসভা আয়োজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাথে নিয়ে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা কর্মীসভা করেছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,‘ ক্যাম্পাসে সভা,সমাবেশ নিষেধ। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীর সাথে মত বিনিময় সভা করবে। সেখানে মাইক ব্যবহার করবে না এই শর্ত সাপেক্ষে তাদের অনুমতি দেয়া হয়’।
তবে শর্ত ভঙ্গ করে ছাত্রলীগকে মাইক ব্যবহার এবং স্লোগান দিতে দেখা যায়।

চান্দিনার বাড়েরা ইউনিয়নে অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরন:চান্দিনার বার্তা

 আশিক
চান্দিনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নে অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরন করা হয়।
বুধবার(১৭)জানুয়ারি রাতে উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়ন জয়দেবপুর কার্যালয়ে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন করেন বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.খোরশেদ আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো.সুলতান মিয়া,আ:মতিন,রেহান উদ্দিন,কাওসার আলম,নুরুল ইসলাম কন্ট্রাকটার প্রমুখ।

Monday, 16 January 2017

চান্দিনার মাধাইয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বিদ্যালয় মাঠে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- সাবেক ডেপুটি স্পিকার আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এম.পি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোসলেহ্ উদ্দিন।
মাধাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি একেএম আলাউদ্দিন আল আজাদ মমতাজ, মাধাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. অহিদ উল্লাহ্, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয় আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ্ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাইজখার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ্ সেলিম প্রধান, মাধাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মুহুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার প্রমুখ।

চান্দিনায় ‘কলেজ’ নাম ব্যবহার করে কিন্ডার গার্টেনগুলোর বাণিজ্য; প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি ফি ৪ হাজার টাকা!

চান্দিনা প্রতিনিধি: চান্দিনা উপজেলা সদরে ‘স্কুল এন্ড কলেজ’ নাম ব্যবহার করে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন। বছরের পর বছর ধরে কলেজ নাম ব্যবহার করলেও কলেজের কোন কার্যক্রম নেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিন্ডার গার্টেনগুলোর মধ্যে মাতৃভূমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ শুধু প্রাক প্রাথমিক শাখায় ভর্তি ফি নিচ্ছে ৪ হাজার টাকা ! মাসে বেতন নিচ্ছে ৭ শত টাকা। টিউটোরিয়াল পরীক্ষার জন্য ১শত ৫০ টাকা, সেমিস্টার পরীক্ষার জন্য ৩ শত টাকা, ভর্তি ফরম ২ শত টাকা নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। শিশু শ্রেণিতে বাচ্চাদের ভর্তি করাতে এসে রীতিমত চোখ কপালে উঠে অভিভাবকদের। এছাড়া বেসরকারি বই এর খড়্গ রয়েছে শিশুদের উপর।
জানাযায় উপজেলা সদরের ধানসিঁড়ি এলাকায় মাতৃভূমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, খাঁনবাড়ী এলাকায় জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ, মোকামবাড়ী ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন শামসুল হক মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ সহ কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন বছরের পর বছর ধরে স্কুল এন্ড কলেজ নাম ব্যবহার করে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। ভর্তি ফি, বেতনসহ অন্যান্য ফি নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। পার্শ্ববর্তি কয়েকটি কিন্ডার গার্টেনের সাথে তুলনা করে দেখা যায় এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যয় তিনগুণেরও বেশি।
মাতৃভূমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রি-প্রাইমারীতে ভর্তি ফি ৪ হাজার, প্রথম-পঞ্চম শ্রেণিতে সাড়ে ৪ হাজার, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন ৭শত থেকে ১হাজার ২শত টাকা পর্যন্ত। টিউটোরিয়াল ফি ১শত ৫০ টাকা থেকে ৩শত ৫০ টাকা। সেমিস্টার পরীক্ষার ফি ৩শত থেকে ৪শত ৫০ টাকা। এছাড়া বেসরকারি বই, ডায়েরি, ম্যাগাজিন, আইডি কার্ড, হ্যান্ড নোট, স্কুল ব্যাগ, খাতা ইত্যাদির জন্য আলাদা ফি দিতে হয়।
এই স্কুলটি ২০১০ সালে জামায়াত-শিবির নেতাদের পরিচালিত সোনার বাংলা মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাপিত হয়। তখন এটির নাম ছিল সোনার বাংলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের জুন মাসে মাতৃভূমি ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্কুলটি ক্রয় করে। বর্তমানে মাতৃভূমি স্কুল এন্ড কলেজ নামে পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৭ বছরেও কলেজের কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। তবুও কলেজ শব্দটি সাইনবোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় শামসুল হক মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ নামের কিন্ডার গার্টেনটিও দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ তাদের সাইনবোর্ডে কলেজ শব্দটি ব্যবহার করছে। কিন্তু অদ্যাবধি কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানটিও অতিরিক্ত ভর্তি ফি, বেতনসহ অন্যান্য ফি নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ ২০১৫ সালে চালু হয়েছে। এবছরও তারা কলেজের কার্যক্রম শুরু করেনি।
কলেজ শব্দটি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাতৃভূমি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপাল মো. আবদুল হাই যুবায়ের বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বারটি এই নামেই নেওয়া হয়েছে।’ কলেজ শব্দটি ব্যবহার করার বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ্বোত্তর দিতে পারেননি। প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি ফি এত কেন ? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আসলে প্রোসপেক্টাসে আমরা উল্লেখ করেছি। অনেকেই কম দেয়।’
এব্যাপারে জানতে শামসুল হক মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালকদের একাধিক নাম্বারে ফোন করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন- ‘কিন্ডার গার্টেনগুলো কলেজ শাখা না খুলে কলেজ শব্দটি ব্যবহার করছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।’ অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

চান্দিনায় ধর্ষণের শিকার এক মাদ্রাসা ছাত্রী

চান্দিনা প্রতিনিধি।
চান্দিনায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বখাটে যুবক। শনিবার (১৪ জানুয়ারী) রাত ৮টায় উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের মেহার-বদরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার বদরপুর নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী।
তার পিতার মস্তিস্ক ভারসাম্যহীন ও মাতা অন্যের বাড়িতে খেটে খায়। ধর্ষক জামাল হোসেন পাশ্ববর্তী বাড়ির অহিদুল্লাহর ছেলে। সে একটি মৎস্য খামের শ্রমিক।
রাত সাড়ে ১০টায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই ছাত্রী জানায়, রাত ৮টার দিকে পড়ার ফাঁকে পাশ্ববর্তী বাড়ির এক বান্ধবীর ডাকে ঘর থেকে বের হলে মুখে চাপ দিয়ে তুলে নেওয়ার পর জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। হঠাৎ জ্ঞান ফিরে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে উঠে আসতে পারছিল না সে। পরে তার আর্ত-চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার খবর শুনে আমি হাসপাতালে যাই এবং মেয়েটির মুখে বর্ননা শুনেছি। ধর্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

দেবির মূর্তি সুপ্রিম কোর্ট থেকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন চরমোনাই পীর।

কোর্ট থেকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন চরমোনাই পীর। রবিবার শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাতিলের দাবি এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন বন্ধে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন তিনি।
চরমোনাই পীর ও দলটির আমির মাওলানা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি মহলকে খুশি রাখার জন্য মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মুসলিম সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাস সংশোধন করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে সরকার সিলেবাস সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ধর্মবিরোধী শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি এখনও বাতিল করা হয়নি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘দেশকে ৪৭’ এর পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে নাস্তিকবাদ গোষ্ঠী নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের ধর্ম, বিশ্বাস ও আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬ সেই ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। সরকার আমাদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন দিয়েছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে গুটিকয়েক নাস্তিক-মুরদাতের প্রণীত শিক্ষানীতি কোনদিনই বাস্তবায়ন করা যাবে না।’
হিন্দু সহ অন্য ধর্মলম্বীদের জন্য পৃথক পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘মুসলমান ছেলে-মেয়েদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় বিষয়ে পাঠদান বাধ্যতামূলক করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
চরমোনাই পীর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘গ্রিস দেবী’র ভাস্কর্য্য স্থাপনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সরকারকে ইসলাম বিরোধী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব মো. ইউনুস আহমেদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, নাসির আহম্মেদ কাওছার, মুফতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা নেছারউদ্দিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।