Thursday, 28 September 2017

জামায়াত নেতার বেয়াই অধ্যাপক অালী আশরাফ!।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন


বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ায় চান্দিনায় আলী অাশরাফ শিবিরে ঝড় বয়ে যায়।  সেই আলোচনার সাথে সাথে এমপি সাহেব নতুন আলোচনার জন্ম দেন।  অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্তকে তিনি জামায়েতের লোক বলে অভিহিত করেন।  এই ঘোষনা দিয়ে অধ্যাপক আলী আশরাফ সাধারন জনগনের হাসির পাত্রে পরিনত হন। সম্প্রতি তার এ মন্তব্যের জবাবে ডাঃ প্রান গোপাল দত্তের এপিএস সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মানিক হোসেন একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন আলী অাশরাফের বেয়াই একজন জামাত নেতা।  এমপি পুত্র টিটুর শ্বশুর মেট্রো গ্রুপের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম নোয়াখালির কোম্পনিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরার সদস্য।  দলীয় নমিনেশনে করেছেন উপজেলা ও পৌর নির্বাচন। এছাড়া ২০০১ সালে বর্তমান আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাসিবকে হত্যা চেষ্টা মামলা সহ মোট ১৮ টি মামলার আসামী। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে আলী অাশরাফ নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেয়াই ফখরুল ইসলামকে দুবাই পাঠাতে সাহায়্য করেন।  এ ব্যাপারে আলী আশরাফ এমপির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

Wednesday, 27 September 2017

ডা. প্রাণ গোপাল সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বক্তব্য।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

গতকাল বুধবার দৈনিক আমাদের কুমিলøার প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘প্রাণ গোপাল জামায়াতের লোক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন কুমিলøা উত্তর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো: মানিক হোসেন । একই সাথে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজেও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো:মানিক হোসেন জানান, চান্দিনা থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত এমপি আলী আশ্রাফ সাহেব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল জামায়াতপন্থী বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি মাত্র। দৈনিক আমাদের কুমিলøাকে তার সেল ফোনে তিনি আরো বলেন, এমপি আলী আশরাফের পুত্র মোনতাকিম আশ্রাফ টিটুর শ্বশুর ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামায়াত ইসলামির আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সুরা সদস্য। এমপি আশরাফ সাহেব নিজে জামায়াত নেতার বেয়াই হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ডা. প্রাণ গোপালকে কিভাবে জামায়াতপন্থী বলে দাবি করেন তা চান্দিনাবাসীর বোধগম্য নয়। চান্দিনার জনগণ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
নিচে ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো:মানিক হোসেনের অনুরোধে তার ফেসবুকের পোস্টটি আলী আশরাফ এমপি ও তার বেয়াই ফখরুল ইসলামের ছবি সম্বলিত পোস্টটি তুলে ধরা হলো।
ফেসবুকে তিনি একটি ছবি দিয়েছেন। ছবিতে যে দুজন ব্যক্তি ছিল তার একজন জেলার চান্দিনা উপজেলার আওয়ামী লীগ এমপি। অন্যজন এমপি মহোদয়ের ছেলে মোনতাকিম আশ্রাফ টিটুর শ্বশুর এমপি মহোদয়ের বেয়াই “ফখরুল ইসলাম “। বেয়াই সাহেব নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামায়েত ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়েতের সুরা সদস্য। সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে জামায়েতের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলার চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র নির্বাচন করেন। আলোচিত বেয়াই ২০০১ সালে জামায়েত-বিএনপি দু:শাসনের সময কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিবুল হাসান আলালকে ( ওবায়েদুল কাদের এমপি মহোদয়ের ভাগিনা) মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাত ও পায়ের রগ কাটা মামলার ১ নং ও যুদ্ধাপরাধসহ ১৮ টি মামলার আসামি। যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হওয়ার পর সে পালিয়ে বিদেশে চলে যায়। মেট্রো গ্রোপের মালিক আলোচিত জামায়েত নেতা বর্তমানে সম্ভবত দুবাইতে অবস্থান করছে। যুদ্ধাপরাধসহ জামায়েতের বিভিন্ন মামলা, হামলার পরিকল্পনাকারী ও অর্থযোগানদাতা পলাতক আমাদের মাননীয় এম পি মহোদয়ের বেয়াই। তাই পাঠকগণ জামায়েত, বিএনপি কে কে/ কারা লালন / পালন / ধারণ করে সে বিষয়টি জানার জন্য আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের রক্ত কতো কষ্ট, বোবা কান্না নিয়ে রাত কাটায়, দিনাতিপাত করছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। আসলেই তারা এতিম, অভিভাবকহীন।

‘প্রাণ গোপাল জামায়াতের লোক’অধ্যাপক আলী আশ্রাফ:।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

স্টাফ রিপোর্টার।
এতে চান্দিনায় আওয়ামী লীগের হাতে আওয়ামী লীগ মার খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও আওয়ামী লীগ নেতা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন,চান্দিনায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা দিচ্ছে,আর অন্যরা হাত তালি দিচ্ছে। দায়িত্ব পেলে তিনি চান্দিনায় দলীয় কোন্দল নিরসন করতে পারবেন বলেও জানান।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত আরো বলেন, চান্দিনার এমপিরা কখনো সরকারের প্রিয় হতে পারছে না, এজন্য চান্দিনা পিছিয়ে পড়ছে। তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নিকট দলের মনোনয়ন চাইবেন। তিনি আরো বলেন,১৯৭০সাল থেকে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন ভাবে চান্দিনা প্রতিটি পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি চান্দিনায় নির্বাচিত হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করবেন বলেও জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ চান্দিনা থেকে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন পত্র নিব কিনা নেত্রীর কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। তখন নেত্রী বলেছে, দরকার নেই। তাই নির্বাচন করিনি। পরে আপনারা দেখেছেন আমাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবার উপাচার্য করা হয়েছে। এবার আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সেভাবে কাজও করছি। দলীয় হাইকমান্ডের গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ডা. প্রাণ গোপাল বলেন, না। এখনো এ বিষয়ে আমি নেত্রীর সাথে কথা বলিনি।
চারবারের এমপি ও সাবেক ডেপুটি স্পীকার অধ্যাপক আলী আশ্রাফকে রেখে কেন আপনাকে মনোনয়ন দেবে জানতে চাইলে দেশের প্রথিতযশা এই চিকিৎসক বলেন, আপনারা জানেন, তিনি কিন্তু সরকারের গুডবুকে নেই। যদি থাকতেন তাহলে কিন্তু সাবেক ডেপুটি স্পীকার থেকে আরো অনেক দূর যেতে পারতেন। তিনি দু:খ করে বলেন, সারা দেশে উন্নয়ন হলেও চান্দিনায় কোন উন্নয়ন নেই। চান্দিনায় আওয়ামী লীগের হাতে আওয়ামীলীগ মার খাচ্ছে। নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, হামলা মামলা খেয়ে হয়রানি হচ্ছে। গত ইউপি নির্বাচনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যেখানে অন্যদের চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল সেখানে তারা ফেল করেছে। চান্দিনায় মাদকের আগ্রাসন বেড়ে গেছে। শিক্ষায় দিক্ষায় পিছিয়ে পড়া চান্দিনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি এমপি হতে চান বলে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন,তার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশের ২৬৯জন স্বাধীনতা পদক পেয়েছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তাকেও এ পদক দেয়া হয়। তিনি বলেন,এখন শিক্ষা ও চিকিৎসায় বাণিজ্য ঢুকে গেছে। ৭৩সালের কুমিল্লার ১৩জন সচিব ছিলো,এখন তা তলানিতে।
মাদকের বিষয়ে বলেন,ত্রিপুরা সব মাদক চান্দিনা দিয়ে যায়। এমপি ও থানা চাইলে ইয়াবা,বাবা সব বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও কুমিল্লা চান্দিনা থেকে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, কুমিল্লায় বসে তিনি যে সকল কথা বলেছেন সব গুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে বলেন, এ কথাগুলো চান্দিনায় এসে বলতে। তিনি ফ্রিডম পার্টির লোক, জামায়াতপন্থী। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি ফ্রিডম পার্টিকে ভোট দিয়েছেন।
এমপি আলী আশ্রাফ আরো বলেন, আপনারা চান্দিনায় এসে দেখে যান, কুমিল্লার ১৬ উপজেলায় যত উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে চান্দিনায়। আপনারা ডিসি, এসপি, চান্দিনার ইউএনও এবং ওসিকে জিজ্ঞেস করুন, চান্দিনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দেওয়া হয়েছে কি না কিংবা তারা দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে কোন মার খেয়েছে কিনা। ডা. প্রাণ গোপাল জামায়াতের অনুসারী। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
কুমিল্লা উত্তরের ৭টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম প্রধান উপজেলা হচ্ছে চান্দিনা উপজেলা। সাংগঠনিক ভাবে বিভক্ত কুমিল্লা উত্তর জেলার প্রায় সব কটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ও এই চান্দিনাতেই অবস্থিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা উত্তরের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চান্দিনা উপজেলায় এখন আওয়ামীলীগের প্রতিদ্ধন্ধি আওয়ামীলীগ। এক দিকে সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক আলী আশ্রাফ আর অপর দিকে রয়েছেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল। এই দুই নেতার নেতৃত্বে পুরো চান্দিনা উপজেলা এখন দ্বিধা বিভক্ত। আর এই বিভক্তির আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়া হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুমিল্লা ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলাপাচারিতায় ডা. প্রাণ গোপালের আগামী নির্বাচনে চান্দিনা থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে।

Monday, 25 September 2017

চান্দিনা প্রেমিকের সাথে এক সন্তানের জননীর পলায়ন।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

চান্দিনা উপজেলার সালচর গ্রামে গত ২৭ তারিখে প্রেমিকের হাত ধরে এক গৃহবধু পালিয়ে গেছে। পলাতক গৃহবধু সালচর গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে মরিয়ম বেগম। পলাতক প্রেমিক একই গ্রামের এবং মেয়ের চাচাতো ভাই আলমগীর।
পলাতক মরিয়মের সাথে গত ২০১২ সালের ২৬ ই মার্চ খৈছাড়া গ্রামের মোঃ রুহুল আমিনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রায়হান (৪) নামে তাদের একটি বাচ্চা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিয়ের ৬ বছর আগে থেকেই মরিয়ম এবং আলমগীরের প্রেম ছিল।
গত ২৭ তারিখে পারিবারিক বাজার খরচের কথা বলে মরিয়ম তার ছেলে এবং মা কে নিয়ে চান্দিনা বাজারে আসে। পরে তার মা এবং বাচ্চাকে ফেলে রেখে প্রেমিক আলমগীরের সাথে পালিয়ে যায়। এ সময় মরিয়মের কাছে অনেক নগদ অর্থ সহ প্রায় ৮০ হাজার টাকার গহনা ছিল।