চান্দিনা প্রতিনিধি :
চান্দিনা বিএনপিকে ধংসের মূল হোতা কেনো আবার বিএনপিতে আসতে চায়,,যিনি দলের বারোটা বাজিয়ে অন্য দল ঘোষনা করে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই রেদোয়ান সাহেব আওয়ামীলীগ এমপি আলি আশরাফ এর গাড়িতে ছড়ে বেড়িয়েছেন,,যেখানে আওয়ামীলীগ এর হামলা মামলায় সারা দেশের সিনিয়র নেতারা জরর্জরিত সেখানে এলডিপির নামে চান্দিনায় কোনো মামলা হয়নি এখানেও কিছু দেখায় বিষয়,,২০০৮ সালে রেদোয়ান সাহেব দল পালটিয়ে অন্য দল ঘঠন করে তারুণ্যর অহংকার জনাব তারেক রহমানকে নিয়ে অনেক কুটুক্তি তিনি করেছেন তা জানার বাকি চান্দিনার কোনো জনগন নাই,,ম্যাডাম খালেদাজিয়ার ধন সম্পদ নিয়েও তিনি তুলেছিলেন হাজারো অভিযোগ, সেই তিনি এখন আবার বিএনপি থেকে নমিনেশন চান কোন সুবিধার জন্য তা চান্দিনার জনগনের বুজার বাকি নাই,,বিএনপিকে নিয়ে তিনি অনেক মন্তব্য করেছেন কিন্তু এখন দল নিয়ে কোন মুখে তিনি কথা বলেন তা আমাদের বুজে আসে না,,
চান্দিনা বিএনপি থেকে রেদোয়ানকে হটাতে হবে কিছুতেই তাকে চান্দিনার মাঠে ঠাই দেওয়া যাবে না,,আর না হয় আরেকবার চান্দিনার বিএনপি আওয়ামীলীগ এর কাছে পরাজিত হবে,,আমরা লড়াই করে হলেও এই বেইমানকে চান্দিনা থেকে হটাতে চাই,,,
Saturday, 1 July 2017
ফেসবুকে প্রেম করে চট্টগ্রাম থেকে চান্দিনা অতঃপর।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
ফেসবুকে অন্যের ছবি দিয়ে, কলেজের ছাত্র পরিচয়ে ভুয়া আই ডি খুলে ছয় মাস প্রেম। অতঃপর চট্টগ্রাম মীরেসরাই থেকে একাদশ শ্রেণী পড়ুয়া উম্মে হাবিবা (১৬) প্রেমের টানে গত বুধবার কুমিল্লা চান্দিনার ছয়ঘরিয়া এলাকার মৃতঃ জয়নাল আবেদীন এর ছেলে প্রতারক প্রেমীক বুলবুল ভুইঞা (৩৮) এর এলাকায় দেখা করতে এসে জানতে পারলেন সকল সত্য এতো সে নয়! যার সাথে তার ছয় মাসের প্রেম, কথা হতো রোজ ফোনে। ছবি দেখেছে শতশত তার এ সে নয়! বিধিবাম ততক্ষণে আটকে গেছে সরল মনে প্ররোচিত হয়ে এক ভয়ংকর টাউট ও নারী লোভী লম্পট দুই বিয়ে করা এবং দুই সন্তানের জনক বুলবুলের হাতে। এরপর ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে না দিয়ে। একটি ঘরে আটকে রেখে কি কি করলো তার সাথে? আর কি ভাবে প্রতারক ও ধর্ষক বুলবুল সহ মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধার করলো চান্দিনা থানা পুলিশ সহ চট্টগ্রাম মীরেসরাই থানা পুলিশের এস আই কাঞ্চন ও সহোযোগী অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স। বর্তমানে আসামী বুলবুল সহ তারা রয়েছে চট্টগ্রামের পথে।
চান্দিনা অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যা করেছে প্রেমিক ।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
বিশেষ প্রতিবেদক:
চান্দিনায় সানজিদা আক্তার নামে এক প্রেমিকার আত্মহত্যা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিকের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে নিজের ইচ্ছায় কীটনাশক পানে মারা গেছেন আর প্রেমিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের পৌরসভাধীন পূর্ব বেলাশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক শাকিল পূর্ব বেলাশহর এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে এবং প্রেমিকা সানজিদা ওই এলাকার মজনু মিয়ার মেয়ে। সানজিদা চান্দিনা ডা. ফিরোজা , পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
চান্দিনার পূর্ব বেশাশ্বর এলাকার শাকিল এবং সানজিদা। নিজেদের পছন্দে একে অপরকে ভালবাসেন বিয়ে করে সুখের সংসার পাতাবে বলে। তবে তাদের এই মধুময় প্রেমের সর্ম্পক মেনে নেয়নি দুই পরিবার। সর্ম্পকের বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পরিবারদ্বয়ের মধ্যে তুমুল অশান্তি বিরাজ করছিল। এসব অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে শাকিল আর সানজিদা তাদের প্রতিবেশীর ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।তাদের কোন একজন সাথে করে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) নিয়ে আসেন। প্রত্যেকে দুটি করে খেয়ে আত্মহত্যা করবেন, বিদায় নিবেন দুনিয়া থেকে আর ইহকালের সকল অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। ইহকালে একে-অপরকে না পেলেও পরজনমে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন-এমন প্রত্যাশাই ছিল তাদের আত্মহত্যার প্রস্তুতির মূল কারণ।
ওইদিন বিকেলে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন তারা। ঘটনাস্থলে সানজিদা ক্যারির ঔষধ খেযে ফেললেও খায়নি শাকিল। একপর্যায়ে সানজিদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভয়ে শাকিল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সানজিদার পরিবারের সহায়তায় সানজিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এমনটাই জানান প্রেমিক শাকিলের পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন।
এদিকে সানজিদার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে শাকিল। অভিযোগপত্রে তারা জানান, সম্প্রতি তাদের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেমিক শাকিল তার প্রেমিকা সানজিদাকে নিয়ে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে। সেখানে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম প্রণয় ঘটায় শাকিল। পরবর্তীতে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) বের করে দুই জনকেই ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় শাকিল। প্রেমিকা সানজিদা ওই ঔষদ খেতে অস্বীকৃতি জানাইলে প্রেমিক শাকিল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে সানজিদা ২টি ট্যাবলেট খাওয়ার পর প্রেমিক শাকিল বাকি ২টি ট্যাবলেট না খেয়ে ফেলে দেয়। সেখান থেকে সানজিদা উঠে আসার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে শাকিল।
প্রায় ২-৩ ঘন্টা যাবৎ মেয়েকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজতে শুরু করে তার পরিবার। খোঁজ নিয়ে ওই বিল্ডিং এর ছাদে উঠে নিজের মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রেমিক শাকিল এর সাথে দেখতে পায় মা ফরিদা বেগম।
মাকে দেখে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সানজিদা। বিধিবাম! সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু ঘটে তার। আর ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায় প্রেমিক শাকিল। ঘটনার এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নিহত সানজিদার বাবা মজনু মিয়া।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
চান্দিনায় সানজিদা আক্তার নামে এক প্রেমিকার আত্মহত্যা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিকের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে নিজের ইচ্ছায় কীটনাশক পানে মারা গেছেন আর প্রেমিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের পৌরসভাধীন পূর্ব বেলাশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক শাকিল পূর্ব বেলাশহর এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে এবং প্রেমিকা সানজিদা ওই এলাকার মজনু মিয়ার মেয়ে। সানজিদা চান্দিনা ডা. ফিরোজা , পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
চান্দিনার পূর্ব বেশাশ্বর এলাকার শাকিল এবং সানজিদা। নিজেদের পছন্দে একে অপরকে ভালবাসেন বিয়ে করে সুখের সংসার পাতাবে বলে। তবে তাদের এই মধুময় প্রেমের সর্ম্পক মেনে নেয়নি দুই পরিবার। সর্ম্পকের বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পরিবারদ্বয়ের মধ্যে তুমুল অশান্তি বিরাজ করছিল। এসব অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে শাকিল আর সানজিদা তাদের প্রতিবেশীর ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।তাদের কোন একজন সাথে করে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) নিয়ে আসেন। প্রত্যেকে দুটি করে খেয়ে আত্মহত্যা করবেন, বিদায় নিবেন দুনিয়া থেকে আর ইহকালের সকল অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। ইহকালে একে-অপরকে না পেলেও পরজনমে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন-এমন প্রত্যাশাই ছিল তাদের আত্মহত্যার প্রস্তুতির মূল কারণ।
ওইদিন বিকেলে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন তারা। ঘটনাস্থলে সানজিদা ক্যারির ঔষধ খেযে ফেললেও খায়নি শাকিল। একপর্যায়ে সানজিদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভয়ে শাকিল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সানজিদার পরিবারের সহায়তায় সানজিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এমনটাই জানান প্রেমিক শাকিলের পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন।
এদিকে সানজিদার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে শাকিল। অভিযোগপত্রে তারা জানান, সম্প্রতি তাদের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেমিক শাকিল তার প্রেমিকা সানজিদাকে নিয়ে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে। সেখানে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম প্রণয় ঘটায় শাকিল। পরবর্তীতে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) বের করে দুই জনকেই ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় শাকিল। প্রেমিকা সানজিদা ওই ঔষদ খেতে অস্বীকৃতি জানাইলে প্রেমিক শাকিল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে সানজিদা ২টি ট্যাবলেট খাওয়ার পর প্রেমিক শাকিল বাকি ২টি ট্যাবলেট না খেয়ে ফেলে দেয়। সেখান থেকে সানজিদা উঠে আসার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে শাকিল।
প্রায় ২-৩ ঘন্টা যাবৎ মেয়েকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজতে শুরু করে তার পরিবার। খোঁজ নিয়ে ওই বিল্ডিং এর ছাদে উঠে নিজের মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রেমিক শাকিল এর সাথে দেখতে পায় মা ফরিদা বেগম।
মাকে দেখে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সানজিদা। বিধিবাম! সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু ঘটে তার। আর ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায় প্রেমিক শাকিল। ঘটনার এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নিহত সানজিদার বাবা মজনু মিয়া।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
চান্দিনায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ ।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
বিশেষ প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় চান্দিনা থেকে নূর জাহান বেগম(৫৫) নামে এক গৃহবধূল ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে চান্দিনা উপজেলা মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি আম গাছে স্থানীয়রা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
তবে গ্রামবাসীরা বলেন, লাশটি যে ভাব গাছে ঝুলে আছে, মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
কুমিল্লায় চান্দিনা থেকে নূর জাহান বেগম(৫৫) নামে এক গৃহবধূল ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে চান্দিনা উপজেলা মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি আম গাছে স্থানীয়রা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
তবে গ্রামবাসীরা বলেন, লাশটি যে ভাব গাছে ঝুলে আছে, মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
Thursday, 29 June 2017
চান্দিনায় প্রেমিকার আত্মহত্যা; পরিবারের দাবি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ শেষে হত্যা
বিশেষ প্রতিবেদক:
চান্দিনায় সানজিদা আক্তার নামে এক প্রেমিকার আত্মহত্যা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিকের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে নিজের ইচ্ছায় কীটনাশক পানে মারা গেছেন আর প্রেমিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের পৌরসভাধীন পূর্ব বেলাশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক শাকিল পূর্ব বেলাশহর এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে এবং প্রেমিকা সানজিদা ওই এলাকার মজনু মিয়ার মেয়ে। সানজিদা চান্দিনা ডা. ফিরোজা , পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
চান্দিনার পূর্ব বেশাশ্বর এলাকার শাকিল এবং সানজিদা। নিজেদের পছন্দে একে অপরকে ভালবাসেন বিয়ে করে সুখের সংসার পাতাবে বলে। তবে তাদের এই মধুময় প্রেমের সর্ম্পক মেনে নেয়নি দুই পরিবার। সর্ম্পকের বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পরিবারদ্বয়ের মধ্যে তুমুল অশান্তি বিরাজ করছিল। এসব অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে শাকিল আর সানজিদা তাদের প্রতিবেশীর ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।তাদের কোন একজন সাথে করে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) নিয়ে আসেন। প্রত্যেকে দুটি করে খেয়ে আত্মহত্যা করবেন, বিদায় নিবেন দুনিয়া থেকে আর ইহকালের সকল অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। ইহকালে একে-অপরকে না পেলেও পরজনমে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন-এমন প্রত্যাশাই ছিল তাদের আত্মহত্যার প্রস্তুতির মূল কারণ।
ওইদিন বিকেলে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন তারা। ঘটনাস্থলে সানজিদা ক্যারির ঔষধ খেযে ফেললেও খায়নি শাকিল। একপর্যায়ে সানজিদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভয়ে শাকিল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সানজিদার পরিবারের সহায়তায় সানজিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এমনটাই জানান প্রেমিক শাকিলের পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন।
এদিকে সানজিদার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে শাকিল। অভিযোগপত্রে তারা জানান, সম্প্রতি তাদের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেমিক শাকিল তার প্রেমিকা সানজিদাকে নিয়ে পাশ্ববর্তী আব্দুর রব মিয়ার ৪ তলা ভবনের ছাদে উঠে। সেখানে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম প্রণয় ঘটায় শাকিল। পরবর্তীতে ৪টি ক্যারির ট্যাবলেট (কীটনাশক ঔষধ) বের করে দুই জনকেই ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় শাকিল। প্রেমিকা সানজিদা ওই ঔষদ খেতে অস্বীকৃতি জানাইলে প্রেমিক শাকিল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে সানজিদা ২টি ট্যাবলেট খাওয়ার পর প্রেমিক শাকিল বাকি ২টি ট্যাবলেট না খেয়ে ফেলে দেয়। সেখান থেকে সানজিদা উঠে আসার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে শাকিল।
প্রায় ২-৩ ঘন্টা যাবৎ মেয়েকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজতে শুরু করে তার পরিবার। খোঁজ নিয়ে ওই বিল্ডিং এর ছাদে উঠে নিজের মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রেমিক শাকিল এর সাথে দেখতে পায় মা ফরিদা বেগম।
মাকে দেখে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সানজিদা। বিধিবাম! সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু ঘটে তার। আর ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায় প্রেমিক শাকিল। ঘটনার এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নিহত সানজিদার বাবা মজনু মিয়া।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
কুমিল্লায় পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে খালা-ভাগ্নিকে ‘গণধর্ষণ’।কুমিল্লা উওরের বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
কুমিল্লা প্রতিনিধি- কুমিল্লায় এক কিশোরী এবং ভাগ্নিকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ সজিব নামের এক ধর্ষককে আটক করেছে।
এর
আগে বুধবার সকালে নগরীর শাকতলা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে গণধর্ষণের এ
ঘটনা ঘটে। পরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৩ ধর্ষককে এজাহার নামীয় এবং
অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, নগরীর একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২) এবং তার
বোনের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী (৮) মঙ্গলবার রাতে নগরীর বাগানবাড়ি এলাকার
বাসা থেকে মায়ের সঙ্গে রাগ করে বেরিয়ে যায়। রাতে তারা নগরীর গোবিন্দপুর
এলাকার পূর্ব পরিচিত একটি বাসায় রাত্রি যাপন করে।
বুধবার
সকাল ১০টার দিকে তারা বাসায় ফেরার পথে নগরীর শাকতলা-গোবিন্দপুর চৌমোহনী
থেকে ৫/৬ জন যুবক জোরপূর্বক দুইজনকে উঠিয়ে নেয়। পরে নগরীর শাকতলা এলাকার
একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে তাদের আত্বীয়রা সেখানে পৌছলে ধর্ষকরা তাদের নিকট উল্টো ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর হুমকি দেয়।
পরে
রাত ৯টার দিকে এক আত্বীয়ের সহায়তায় নির্যাতিতাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ
ঘটনায় ভিকটিমদ্বয়ের আত্মীয় এক নারী বাদী হয়ে ৩ ধর্ষককে এজাহার নামীয় এবং
অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের
করেছেন।
এ বিষয়ে রাতে সদর দক্ষিণ মডেল
থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, রাতে ভিকটিমরা থানায় আসার পর তাদের অভিযোগের
প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে, এরই
মধ্যে সজিব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে
Subscribe to:
Posts (Atom)