একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাই প্রায় শেষ
পর্যায়ে। একাধিক জরিপ রিপোর্ট ও দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে এই বাছাই
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শেষ মুহূর্তে
বিভিন্ন কারণে বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা কিছুটা রদবদল করা হবে। তবে এখন
পর্যন্ত বাছাইয়ে যাদের নাম প্রার্থী তালিকায় রয়েছে তাদের নিজ
নিজ সংসদীয় এলাকায় কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে এমন ইঙ্গিত
পেয়ে অনেকেই ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাই
প্রক্রিয়া এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে প্রায় ২০০ জনকে দলীয় হাইকমান্ড থেকে
নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তাই তারা এখন ঘন ঘন নিজেদের সংসদীয় এলাকায় আসা-যাওয়া
করছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেইসঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধি করছেন। এ
ছাড়া ২০ দলীয় জোটের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন।এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে
জোটের শরিক দলের নেতাদের কথাবার্তা চলছে। বিএনপি চাচ্ছে শরিকদের সর্বোচ্চ
৩০টি আসন ছাড়তে। আর শরিকরা চাচ্ছে ৬০টি আসন। তবে আগেভাগেই আসন বণ্টনের
বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ফয়সালা চান ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা। কিন্তু
জোটের কোন দলকেই প্রত্যাশিত আসন দিতে পারছে না বিএনপি। সবাইকে আসন দেয়া
সম্ভব না হলেও ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার
আশ্বাস দেয়া হবে।প্রাথমিক আলোচনায় বিএনপি জোটের শরিক দল জামায়াত দাবি করছে ৩১ আসন। এ ছাড়া
এলডিপি ১০, বিজেপি ২, বাংলাদেশ ন্যাপ-১, লেবার পার্টি-১, জমিয়তে ওলামায়ে
ইসলামকে ১, কল্যাণ পার্টি ৩, জাতীয় পার্টি (জাফর) ৫, খেলাফত মজলিশ-১,
এনডিপি ১, মুসলিম লীগ ১, ন্যাপ ভাসানী ২ ও জাগপা ১ আসন দাবি করছে। কিন্তু
বিএনপি জামায়াতকে সর্বোচ্চ ১৫, এলডিপিকে ২, বিজেপিকে ১, বাংলাদেশ ন্যাপকে
১, লেবার পার্টিকে ১, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে ১, কল্যাণ পার্টিকে ১, জাতীয়
পার্টিকে (জাফর) ৩, খেলাফত মজলিশকে ১, এলডিপিকে ১, মুসলিম লীগকে ১, ন্যাপ
ভাসানীকে ১ ও জাগপাকে ১ আসন দিতে চাচ্ছে।সূত্রমতে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি
নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাই
প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় অপেক্ষাকৃত ক্লিন
ইমেজের অধিকারী নেতাদের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
বিএনপির ৫৯২ সদস্যের নির্বাহী কমিটির স্থায়ী কমিটি সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান,
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, যুগ্মমহাসচিব ও নির্বাহী কমিটির অন্য প্রভাবশালী
কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে যারা আগে নির্বাচন করছেন তাদের অধিকাংশই আগামী
নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।এবার নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মামলায় দোষী প্রমাণিত হবেন এমনটি ধরে নিয়ে
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বেশ ক’জন কেন্দ্রীয় নেতার
পরিবর্তে নিজ নিজ এলাকায় বিকল্প প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। তবে তারেক
রহমানের স্ত্রী ডাঃ জোবাইদা রহমান সুবিধাজনক কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে
পারেন। আর যেসব সিনিয়র নেতা নির্বাচন করতে পারবেন না তাদের আসনে পরিবারের
অন্য সদস্যরা নির্বাচন করতে পারেন।এখন পর্যন্ত বিএনপির যেসব নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয়
হাইকমান্ডের ইঙ্গিত পেয়েছেন তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার
মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার,
তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর
চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ইকবাল হাসান
মাহমুদ টুকু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, ড. ওসমান ফারুক, আবদুল
মান্নান, গিয়াস কাদের চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টো, ব্যারিস্টার মাহবুব
উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল
কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত বিএনপির বাছাই তালিকায় আরও
যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মেজর (অব) কামরুল ইসলাম,
জয়নুল আবদিন ফারুক, এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নাল আবেদীন, আফরোজা
খান রীতা, উকিল আবদুস সাত্তার, তাহমিনা রুশদির লুনা, ফজলুর রহমান, আমান
উল্লাহ আমান, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক
ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আসাদুল
হাবিব দুলু ও শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এহসানুল হক মিলন,
এ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু প্রমুখ।
জানা যায়, জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও বিএনপি দলীয়ভাবে ২৭০ আসনে নির্বাচনের
প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বাকি ৩০ আসন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের দেয়ার
প্রস্তুতি থাকলেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এখনও নিরাশ করা হচ্ছে না।
এছাড়া ২০ দলীয় জোটের বাইরের সমমনা কোন দল জোটের সঙ্গে নির্বাচনে এলে বিএনপি
২৭০ আসন থেকে আরও ক’টি আসন ছেড়ে দেবে। আর শেষ পর্যন্ত জোটের শরিকরা না
মানলেও বিএনপির নির্ধারিত আসন থেকে আরও ক’টি আসন ছাড়বে। এসব বিষয়ে লন্ডনে
ছেলে তারেক রহমানের মতামত নেবেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন
হয় সে জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে
সংলাপকালে লিখিতভাবে তুলে ধরেছে বিএনপি। প্রস্তাবগুলোর নির্দলীয় সরকারের
অধীনে নির্বাচন করা, নির্বাচনকালে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী
মোতায়েন করা, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করা,
নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সংসদীয় আসনের সীমানা
পুনঃনির্ধারণ অর্থাৎ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেভাবে সীমানা
নির্ধারণ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা, নির্বাচনের অন্তত এক মাস
আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সকল স্তরে রদবদল করা, আরপিও
(গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধন, প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব
পালনরত সকল কর্মকর্তাকে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা প্রদান, ভোট
কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, দেশী-বিদেশী
পর্যবেক্ষকদের জন্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের অবাধ সুযোগ রাখা, ইভিএম পদ্ধতিতে
ভোট গ্রহণ না করা, রাজনৈতিক দলের নেতাদের মামলার নামে হয়রানি না করা
ইত্যাদি।জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি
নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল। তাই বিএনপির নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। আর
বিএনপির ৩০০টি আসনে প্রায় ৯০০ যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। তাই বিএনপির জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দিতে কোন অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি
নির্বাচনে যেতে চায়। অবশ্যই সে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
তবে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না এবং
নির্বাচন হতে দেবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যেই বিএনপি প্রার্থী তালিকা করার কাজ শুরু
করেছে। বিভিন্নভাবে প্রতিটি এলাকা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নাম দলীয়
হাইকমান্ডের কাছে আসছে। শীঘ্রই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
জনকণ্ঠ
Wednesday, 6 December 2017
Monday, 4 December 2017
চান্দিনার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এলডিপি।। চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিস্তেজ
চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো, দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এলডিপি। দিন যতই যাচ্ছে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে, প্রায় একযোগ ধরে জুলে আছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো। অন্যদিকে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহাম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম তরিদ গতিতে চলছে। ড. রেদোয়ান আহাম্মদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে হলে কমিটির কোন বিকল্প নাই, তিনি আরও বলেন বিএনপি থেকে হতাশা নিয়ে অনেকে আমার কাছে আসছে, এবং নতুন কমিটিতে অনেকে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন -আমি বিএনপি থেকে চলে আসার পর চান্দিনায় পর্যন্ত আর কোন কমিটি করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে যেসব কমিটি বলবত আছ সেগুলো আমার রেখে যাওয়া। সেগুলো আমিই করেছিলাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হতে শুরু করেছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু চান্দিনা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাএদল, সেচ্ছাসেবক দল সহ প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন এখনও নিস্তেজ। তার কারণ হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন কমিটি পুনর্গঠন না করা, অযোগ্যদের দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল রাখা ও যোগ্যদের সুযোগ করে না দেয়া এবং কমিটি পুনর্গঠনের নামে পদপ্রার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং শোডাউন করিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হতাশায় ঠেলে দেয়া ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, সিনিয়র নেতাদের নিস্ক্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা, দলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী নিয়মিত পালন না করা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে না দাড়ানো, কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ কম রাখা সহ তারা নানান হতাশার কথা জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির প্রথম সারির একজন নেতা বলেন- তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবী অনুযায়ী কুমিল্লা উঃজেলা ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে কয়েক বছর আগে প্রতিটি কমিটির কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও শুরু হয়েছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। পদপ্রার্থীদের শোডাউন প্রচারণা ছিলো চোখে পরার মত, উজ্জীবিত হয়েছিল উঠতি নেতাকর্মীরাও। কিন্তু আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, আর কেন স্থগিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি। আর এর জন্য আমরা নিজেরাও তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কাছে লজ্জা পেতে হচ্ছে। আর কমিটি না হওয়ার কারনে, যদি অদুর ভবিষ্যতে ওনার কিংবা দলের কোন অমঙ্গল হয়, এজন্য সম্পূর্ণ দায়ভার ওনাকেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেব চাইলে আগামী এক মাসে সবগুলো কমিটি সম্পন্ন করা সম্ভব। এখন সব কিছু নির্ভর করছে ওনার উপরে। এ নিয়ে বর্তমান উপজেলা কমিটির ছাএদলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন – ইতিমধ্যে ছাএদলের তিনটি ইউনিয়নের কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি। আমরা ছাএদল থেকে বিদায় নিয়ে নতুনদের সুযোগ দিতে হবে, আর এজন্য দরকার নতুন কমিটি। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনের আগে কমিটিশুলো পুনর্গঠন না করলে এর খেসারত দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ সাহেবের কাছে নতুন কমিটির জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। একজন যুবদল নেতা বলেন – ছাএদলের নেতাকর্মীরা ছাএদলেই যৌবন শেষ হয়ে যাচ্ছে, যুবদলের নেতাকর্মীরা যুবদলেই বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রান চাই। তিনি আরও বলেন সিনিয়র নেতারা কাকে খুশি করবেন, আর কাকে অখুশি করবেন এনিয়ে ভাবতে ভাবতে বেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমিটি এখন শুধু সপ্ন ছাড়া আর কিছুই না, আর পদপ্রার্থীদের কপালে শুধুই হতাশা। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, জনাব খোরশেদ সাহেব কুমিল্লা উঃজেলা বিএনপির সভাপতি। সুতরাং সাংগঠনিক দিক থেকে ওনার অনেক ক্ষমতা কিন্তু ওনি প্রয়োগ করেছেন না কেন জানি না। ইমিডিয়েটলি কমিটিগুলো পুনর্গঠন না করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব নীতিবাচক পরবে।
চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো, দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এলডিপি। দিন যতই যাচ্ছে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে, প্রায় একযোগ ধরে জুলে আছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো। অন্যদিকে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহাম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম তরিদ গতিতে চলছে। ড. রেদোয়ান আহাম্মদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে হলে কমিটির কোন বিকল্প নাই, তিনি আরও বলেন বিএনপি থেকে হতাশা নিয়ে অনেকে আমার কাছে আসছে, এবং নতুন কমিটিতে অনেকে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন -আমি বিএনপি থেকে চলে আসার পর চান্দিনায় পর্যন্ত আর কোন কমিটি করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে যেসব কমিটি বলবত আছ সেগুলো আমার রেখে যাওয়া। সেগুলো আমিই করেছিলাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হতে শুরু করেছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু চান্দিনা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাএদল, সেচ্ছাসেবক দল সহ প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন এখনও নিস্তেজ। তার কারণ হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন কমিটি পুনর্গঠন না করা, অযোগ্যদের দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল রাখা ও যোগ্যদের সুযোগ করে না দেয়া এবং কমিটি পুনর্গঠনের নামে পদপ্রার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং শোডাউন করিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হতাশায় ঠেলে দেয়া ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, সিনিয়র নেতাদের নিস্ক্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা, দলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী নিয়মিত পালন না করা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে না দাড়ানো, কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ কম রাখা সহ তারা নানান হতাশার কথা জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির প্রথম সারির একজন নেতা বলেন- তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবী অনুযায়ী কুমিল্লা উঃজেলা ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে কয়েক বছর আগে প্রতিটি কমিটির কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও শুরু হয়েছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। পদপ্রার্থীদের শোডাউন প্রচারণা ছিলো চোখে পরার মত, উজ্জীবিত হয়েছিল উঠতি নেতাকর্মীরাও। কিন্তু আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, আর কেন স্থগিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি। আর এর জন্য আমরা নিজেরাও তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কাছে লজ্জা পেতে হচ্ছে। আর কমিটি না হওয়ার কারনে, যদি অদুর ভবিষ্যতে ওনার কিংবা দলের কোন অমঙ্গল হয়, এজন্য সম্পূর্ণ দায়ভার ওনাকেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেব চাইলে আগামী এক মাসে সবগুলো কমিটি সম্পন্ন করা সম্ভব। এখন সব কিছু নির্ভর করছে ওনার উপরে। এ নিয়ে বর্তমান উপজেলা কমিটির ছাএদলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন – ইতিমধ্যে ছাএদলের তিনটি ইউনিয়নের কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি। আমরা ছাএদল থেকে বিদায় নিয়ে নতুনদের সুযোগ দিতে হবে, আর এজন্য দরকার নতুন কমিটি। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনের আগে কমিটিশুলো পুনর্গঠন না করলে এর খেসারত দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ সাহেবের কাছে নতুন কমিটির জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। একজন যুবদল নেতা বলেন – ছাএদলের নেতাকর্মীরা ছাএদলেই যৌবন শেষ হয়ে যাচ্ছে, যুবদলের নেতাকর্মীরা যুবদলেই বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রান চাই। তিনি আরও বলেন সিনিয়র নেতারা কাকে খুশি করবেন, আর কাকে অখুশি করবেন এনিয়ে ভাবতে ভাবতে বেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমিটি এখন শুধু সপ্ন ছাড়া আর কিছুই না, আর পদপ্রার্থীদের কপালে শুধুই হতাশা। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, জনাব খোরশেদ সাহেব কুমিল্লা উঃজেলা বিএনপির সভাপতি। সুতরাং সাংগঠনিক দিক থেকে ওনার অনেক ক্ষমতা কিন্তু ওনি প্রয়োগ করেছেন না কেন জানি না। ইমিডিয়েটলি কমিটিগুলো পুনর্গঠন না করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব নীতিবাচক পরবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)