Monday, 4 December 2017

চান্দিনার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এলডিপি।। চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিস্তেজ
চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো, দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কমিটি করতে ব্যর্থ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এলডিপি। দিন যতই যাচ্ছে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে, প্রায় একযোগ ধরে জুলে আছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো। অন্যদিকে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহাম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম তরিদ গতিতে চলছে। ড. রেদোয়ান আহাম্মদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে হলে কমিটির কোন বিকল্প নাই, তিনি আরও বলেন বিএনপি থেকে হতাশা নিয়ে অনেকে আমার কাছে আসছে, এবং নতুন কমিটিতে অনেকে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন -আমি বিএনপি থেকে চলে আসার পর চান্দিনায় পর্যন্ত আর কোন কমিটি করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে যেসব কমিটি বলবত আছ সেগুলো আমার রেখে যাওয়া। সেগুলো আমিই করেছিলাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হতে শুরু করেছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু চান্দিনা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাএদল, সেচ্ছাসেবক দল সহ প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন এখনও নিস্তেজ। তার কারণ হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন কমিটি পুনর্গঠন না করা, অযোগ্যদের দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল রাখা ও যোগ্যদের সুযোগ করে না দেয়া এবং কমিটি পুনর্গঠনের নামে পদপ্রার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং শোডাউন করিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হতাশায় ঠেলে দেয়া ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, সিনিয়র নেতাদের নিস্ক্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা, দলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী নিয়মিত পালন না করা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে না দাড়ানো, কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ কম রাখা সহ তারা নানান হতাশার কথা জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির প্রথম সারির একজন নেতা বলেন- তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবী অনুযায়ী কুমিল্লা উঃজেলা ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে কয়েক বছর আগে প্রতিটি কমিটির কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও শুরু হয়েছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। পদপ্রার্থীদের শোডাউন প্রচারণা ছিলো চোখে পরার মত, উজ্জীবিত হয়েছিল উঠতি নেতাকর্মীরাও। কিন্তু আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেবের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, আর কেন স্থগিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি। আর এর জন্য আমরা নিজেরাও তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কাছে লজ্জা পেতে হচ্ছে। আর কমিটি না হওয়ার কারনে, যদি অদুর ভবিষ্যতে ওনার কিংবা দলের কোন অমঙ্গল হয়, এজন্য সম্পূর্ণ দায়ভার ওনাকেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেব চাইলে আগামী এক মাসে সবগুলো কমিটি সম্পন্ন করা সম্ভব। এখন সব কিছু নির্ভর করছে ওনার উপরে। এ নিয়ে বর্তমান উপজেলা কমিটির ছাএদলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন – ইতিমধ্যে ছাএদলের তিনটি ইউনিয়নের কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি। আমরা ছাএদল থেকে বিদায় নিয়ে নতুনদের সুযোগ দিতে হবে, আর এজন্য দরকার নতুন কমিটি। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনের আগে কমিটিশুলো পুনর্গঠন না করলে এর খেসারত দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আলহাজ্ব খোরশেদ সাহেবের কাছে নতুন কমিটির জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। একজন যুবদল নেতা বলেন – ছাএদলের নেতাকর্মীরা ছাএদলেই যৌবন শেষ হয়ে যাচ্ছে, যুবদলের নেতাকর্মীরা যুবদলেই বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রান চাই। তিনি আরও বলেন সিনিয়র নেতারা কাকে খুশি করবেন, আর কাকে অখুশি করবেন এনিয়ে ভাবতে ভাবতে বেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমিটি এখন শুধু সপ্ন ছাড়া আর কিছুই না, আর পদপ্রার্থীদের কপালে শুধুই হতাশা। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, জনাব খোরশেদ সাহেব কুমিল্লা উঃজেলা বিএনপির সভাপতি। সুতরাং সাংগঠনিক দিক থেকে ওনার অনেক ক্ষমতা কিন্তু ওনি প্রয়োগ করেছেন না কেন জানি না। ইমিডিয়েটলি কমিটিগুলো পুনর্গঠন না করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব নীতিবাচক পরবে।

No comments:

Post a Comment