Friday, 14 April 2017

চান্দিনার মাইজখারে মহিলা মেম্বারকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যান ও ২ মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা

চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নাছিমা আক্তার বেবি (৪২) কে মারধর এর ঘটনায় মাইজখার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ্ সেলিম প্রধান, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. জালাল ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. মজিবুর রহমানকে আসামী করে চান্দিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তার বেবি বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ওই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি এফআইআর ভুক্ত করণের প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
অভিযোগের বিবরণে জানাযায়, মামলার আসামী মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অপর দুই মেম্বার যোগসাজেসে বাদিকে বিভিন্নভাবে এলাকায় হেয়-প্রতিপন্ন করার পায়তারা করে আসছে। তারা বাদিকে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গত ২ এপ্রিল জালাল মেম্বার তাকে বাকবিতন্ডার মাধ্যমে নাজেহাল করে। এ বিষয়ে মহিলা মেম্বার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ১২ এপ্রিল বুধবার মাসিক উন্নয়ন সভায় আসামীরা তাকে মারধর করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চান্দিনা থানার ডিউটি অফিসার এস.আই মনিরুল ইসলাম জানান, ‘অভিযোগটি রিসিভ করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
এব্যাপারে জানতে চান্দিনা থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. নাসির উদ্দিন মৃধা’র অফিসিয়াল মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Sunday, 9 April 2017

চান্দিনায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ; অত:পর বিয়ে ! চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন


চান্দিনায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগিতায় বখাটে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুটিকে!
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে চান্দিনা উপজেলার কেরনখাল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম ওই শিশুটি একই ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামের সফিকুর রহমান এর মেয়ে। সে বাগমারা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
শুক্রবার বিকেলে বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে আসে ওই ছাত্রী। পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুর রহমান এর ছেলে আলিম নামে জনৈক এক প্রেমিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ থাকে তার।
ওই রাতে প্রেমিক আরও ২ বন্ধুসহ প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসলে অবুঝ মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বাড়ির একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। এসময় বখাটে ওই প্রেমিক স্কুল ছাত্রীর সাথে একান্ত মুহুর্ত মোবাইলে ধারণ করে রাখে তার অপর দুই বন্ধু।
এদিকে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকার লোকজন ধাওয়া করে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক আলিম ও মেয়েটিকে আটক করে। পরদিন শনিবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় ইউপি মেম্বার, এলাকার কতিপয় মাতাব্বর ওই বখাটে ছেলের সাথে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে স্থানীয় বিবাহ কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে ছেলে ও মেয়েকে পৃথক ভাবে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়।