চান্দিনার বার্তা ডেস্কঃ চান্দিনা উপজেলায় বিএনপি'র কোণঠাসা অবস্থানের একমাত্র কারণ এলডিপি নেতা রেদোয়ান
আহমেদ। বিএনপি'র সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন সময় বিএনপি'র বিরুদ্ধেই কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে বিএনপি'র যখন দুঃসময় চলছিল তখন পল্টিবাজ এই নেতা হুট করেই নিজে দল খুলে তার মহাসচিব হয়ে যায় এবং দুঃসময়ে বিএনপি ছেড়ে দেয়। আবার ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি'র বিরুদ্ধে কাজ করে। গত উপজেলা নির্বাচনে সে সরাসরি বিএনপি'র মনোনীত প্যানেলের বিরুদ্ধে কাজ করে। জানা গেছে সে এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর সাথে চুক্তি করে যে, ৬০% ভোট আওয়ামীলীগ নেবে আর ৪০% ভোট রেদোয়ান প্যানেল। কিন্তু বিএনপি কে কোন ভাবেই কেন্দ্রেই ঢুকতে দেওয়া হবেনা। শুধু এগুলো নয়, সে চান্দিনার গণমানুষের নেতা, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সাহেব ও তার সমর্থক কর্মীদেরকে বিভিন্ন সময় ভুয়া মামলা করে হয়রানী ও করেছে। চান্দিনায় বিএনপি'র এই অধঃপতন পল্টিবাজ রেদোয়ানের কারণেই। আরও তথ্যবহুল সংবাদ আসছে। চান্দিনার বার্তার সাথেই থাকুন।
Thursday, 27 April 2017
Wednesday, 26 April 2017
মেয়র আসে মেয়র যায় চান্দিনা পৌরসভায় নেতা আসে নেতা যায়:চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন
"ভাই তুলেন তুলেন ভালো কইরা তুলেন, হেতেরা তো কালা চশমা চোখে লাগাইয়া সরকারী পাওজারু দিয়া গুরে। আমারার এনা মুসিমত, এই দেহেন অহন তিনডা ইস্পুক ছিরছে রিস্কার, মেয়র একটার পর একটা আইয়ে সরকারী টেকা মাইরা বাড়ী গাড়ী করে আর খালি ভাষণ দেয় মাইকে, হতেরাই ডুবাইবো মুজিবের নৌকা । আইজ ৪ বছর ধইরা এই রাস্তাডা সারা বছর এই অবস্থা মেঘ থাকলে ও যেই না থাকলে ও হেই। যেদিন পাবলিকে ধরবো নেতারারে হেদিন টের পাইবো কালা চশমা খুইলা গাড়ীত্তে নামাইয়া দৌড়ানি লাগাইবো, হে দিন বুজবো এই রাস্তায় দৌড় দিতে কেরুম লাগে। সরকারী টেকা পেডের তে বাইর করবো হেদিন। জনগন খপলে মেয়র, চেয়ারম্যান এম পি....... না ""
হা হা হা রিক্সা চালক চাচার একটানা কথাগুলো শুনে হাসবো না ছবি তুলবো বুঝতে পারছিলাম না। নাম জানতে চাইলে জবাব দিলেন আরো চোখা ভাষায়
""আমার নাম তো আর পেপারে দিবেন না আপ্নেরা সাংবাদিকরা তো নেতারার গুনই গান, নাম জাইনা কি হইবো? ""
কথা বাড়ালাম না চাচার ক্ষোভ এবং স্হানীয় চান্দিনা পৌরসভার প্রধান ব্যস্ত সড়কে প্রতিনিয়ত হাজারো পথচারী, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, সরকারী অফিসের কর্মকর্তা সহ উপজেলা ও পৌরসভার বাজারে যাতায়াত করা লোকজনের কষ্টটা বোঝা যায় সড়কের চিত্র দেখেই।
পৌরসভাধীন পালকী সিনামা হল থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত দের কিঃ মিঃ সহ আড়ং রোড, গুমুরা রোড, কাচা বাজার এর রাস্তা সব আরো যে সব প্রধান প্রধান সড়ক রয়েছে একটি সড়কে হাটা তো দুরের কথা পা ফেলার জায়গা নেই। গোটা পৌরসভার সবগুলো রাস্তাঘাট আস্ত ময়লা ও আবর্জনার ভাগাড় যেন।
ড্রেন আছে কোথাও কোথাও তবে না থাকার মত কারন এগুলো কবে যে বন্ধ হয়েছে তার খবর পৌরসভার প্রতিনিধিরা হয়তো ভুলেও গেছে। সবগুলো ডেন আবর্জনা দিয়ে একেবারে বন্ধ। ফলে বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই সড়কগুলোতে থাকে পানিকাদা আর দুর্গন্ধ।
খোদ পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম এর বাড়ীর সামনের সড়কটির অবস্হা ও একই।
দেশের কোন নিভৃত অজো পাড়া গ্রামের রাস্তাঘাট এতোটা বেহাল অবস্থায় আছে কি না জানা নেই তবে উপজেলার বড় বড় আওয়ামীলীগ নেতারা তো বটেই, এম পি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউ এন ও, সহ অনেক ভিআইপি ব্যক্তিবর্গ পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, থানা সহ নানা দপ্তরে যাতায়াত এই সড়কগুলো দিয়ে। তারা নিজেরাও কি জনগনের এই দূর্দশা প্রত্যক্ষ করেন না। পৌরবাসী কি তাদের টেক্স দেয় না? এমন নোংরা পৌরসভা আর আছে কি না কুমিল্লা একটিও? এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিক কে পৌরসভা এলাকার কতিপয় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।
Subscribe to:
Posts (Atom)