Wednesday, 27 September 2017

ডা. প্রাণ গোপাল সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বক্তব্য।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

গতকাল বুধবার দৈনিক আমাদের কুমিলøার প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘প্রাণ গোপাল জামায়াতের লোক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন কুমিলøা উত্তর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো: মানিক হোসেন । একই সাথে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজেও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো:মানিক হোসেন জানান, চান্দিনা থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত এমপি আলী আশ্রাফ সাহেব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল জামায়াতপন্থী বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি মাত্র। দৈনিক আমাদের কুমিলøাকে তার সেল ফোনে তিনি আরো বলেন, এমপি আলী আশরাফের পুত্র মোনতাকিম আশ্রাফ টিটুর শ্বশুর ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামায়াত ইসলামির আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সুরা সদস্য। এমপি আশরাফ সাহেব নিজে জামায়াত নেতার বেয়াই হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ডা. প্রাণ গোপালকে কিভাবে জামায়াতপন্থী বলে দাবি করেন তা চান্দিনাবাসীর বোধগম্য নয়। চান্দিনার জনগণ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
নিচে ডা: প্রাণ গোপালের ব্যক্তিগত সহকারী মো:মানিক হোসেনের অনুরোধে তার ফেসবুকের পোস্টটি আলী আশরাফ এমপি ও তার বেয়াই ফখরুল ইসলামের ছবি সম্বলিত পোস্টটি তুলে ধরা হলো।
ফেসবুকে তিনি একটি ছবি দিয়েছেন। ছবিতে যে দুজন ব্যক্তি ছিল তার একজন জেলার চান্দিনা উপজেলার আওয়ামী লীগ এমপি। অন্যজন এমপি মহোদয়ের ছেলে মোনতাকিম আশ্রাফ টিটুর শ্বশুর এমপি মহোদয়ের বেয়াই “ফখরুল ইসলাম “। বেয়াই সাহেব নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামায়েত ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়েতের সুরা সদস্য। সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে জামায়েতের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলার চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র নির্বাচন করেন। আলোচিত বেয়াই ২০০১ সালে জামায়েত-বিএনপি দু:শাসনের সময কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিবুল হাসান আলালকে ( ওবায়েদুল কাদের এমপি মহোদয়ের ভাগিনা) মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাত ও পায়ের রগ কাটা মামলার ১ নং ও যুদ্ধাপরাধসহ ১৮ টি মামলার আসামি। যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হওয়ার পর সে পালিয়ে বিদেশে চলে যায়। মেট্রো গ্রোপের মালিক আলোচিত জামায়েত নেতা বর্তমানে সম্ভবত দুবাইতে অবস্থান করছে। যুদ্ধাপরাধসহ জামায়েতের বিভিন্ন মামলা, হামলার পরিকল্পনাকারী ও অর্থযোগানদাতা পলাতক আমাদের মাননীয় এম পি মহোদয়ের বেয়াই। তাই পাঠকগণ জামায়েত, বিএনপি কে কে/ কারা লালন / পালন / ধারণ করে সে বিষয়টি জানার জন্য আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের রক্ত কতো কষ্ট, বোবা কান্না নিয়ে রাত কাটায়, দিনাতিপাত করছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। আসলেই তারা এতিম, অভিভাবকহীন।

No comments:

Post a Comment