Tuesday, 9 May 2017

মাইজখারে আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জামাল গ্রুপ-সেলিম গ্রুপঃ বিপদে এলাকাবাসী:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

 আশিক চান্দিনাঃ
২০১৬ সালের ৭ ই মে ইউনিয়ন নির্বাচন কে ঘিরে গড়ে উঠা মাইজখার ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ সেলিম প্রধান ও বর্তমান মাইজখার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জনাব জামাল হোসেন গ্রুপের সহিংসতা আবারো চর। পর্যায়ে। গত ৭ ই মে ২০১৬ সালের নির্বাচনী সহিংসতায় জামাল গ্রুপ কর্তৃক নিহত সেলিম চেয়ারম্যান এর চাচা আব্দুল মান্নানের মৃত্যুবার্ষিকী ও সেলিম চেয়ারম্যানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রামমোহন নতুন বাজারে এক মিলাদ মাহফিল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো ব্যাপক গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৭ ই মে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ ই মে রাতে জামাল গ্রুপের বাহিনী এলাকায় ককটেল ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করার ফলে ওই মিলাদ মাহফিল বাতিল করা হয়। মিলাদ মাহফিল বাতিল হলেও থামেনি সহিংসতা। ৬ তারিখ রাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি রাতেই চলছে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। রামমোহন বাজার থেকে শুরু করে পানিপাড়া সেলিম চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় রাত ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। মাঝেমধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা লাগে।
এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। এই ব্যাপারে পানিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, স্কুলের বাচ্চা রা অনেক আতংকে আছে। তারা স্কুলে আসতেও ভয় পাচ্ছে। অভিভাবক রা ও তাদের বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাতে আতংক বোধ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, রাত হলেই শুরু হয় জামাল-সেলিম বাহিনীর তান্ডব। সারা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ও বিভিন্ন সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে।
যেখানে বাচ্চারা মায়ের বুকে শোয়ে মায়ের গল্প শোনে ঘুমানোর সেখানে কেন ককটেলের আওয়াজ শুনে ঘুমাতে যাওয়া লাগে? সাংবাদিকদেরকে দেখে এই প্রশ্ন করেন এক মহিলা।
এলাকাবাসী এই দুই গ্রুপকে সহিংসতা বাদ দিয়ে শান্তির পথে ফিরে আসার আহবান জানান। তারা উক্ত বিষয় টি জনাব আলী আশ্রাফ এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের নিকট দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন।

No comments:

Post a Comment