সাইফুল ইসলাম শিশিরঃ
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের কয়েকমাস আগেই হতে পাওে বলে দলটির হাইকমান্ড নিশ্চিতও করেছেন।বর্তমান ও সাবেক এমপি কিংবা আওয়ামী লীগের বড় নেতা এবং সাবেক ছাত্রনেতা-এসব যোগ্যতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট কারো হাতে উঠছে।আগামী নির্বাচনকে খুব কঠিন মনে কওে বিভিন্ন ধাপে প্রার্থী বাছাই করবে আওয়ামী লীগ।যাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে জিতে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকবে, আগামী নির্বাচনে তাকেই দেয়া হবে নৌকার টিকিট।হিসাব-নিকাশ কওে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রার্থী বাছাইয়ে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা-এদুটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।সবকিছু যাচাই-বাছাই কওে যিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়,তাকেই মনোনয়ন দেবেন শেখ হাছিনা।তবে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে সাবেক দুই জন মন্ত্রী ও বর্তমান এমপিকে রেখে কি কুমিল্লা উত্তর জেলার বড় দুইজন নেতার খোজখবর নেওয়া হবে।কারনে এআসনটি ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিলো। বিএনপির দূর্গকে হটিয়ে আওয়ামী লীগের আগমন ঘটাতে অনেক কাঠগড় পোহাতে হয় আওয়ামীলীগের।
২০০৮ সালে চারবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর স্ত্রী বেগম মাজেদা আহসান মুন্সীকে পরাজিত কওে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এবিএম গোলাম মোস্তাফা নির্বাচিত হন।তার গত ৫বছরে কর্মকান্ড মূল্যায়ন করে ২০১৪ সালে আবারোও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যান।পরবর্তীতে নির্বাচনে মহাজোট করায় কারনে এআসনটি এবিএম গোলাম মোস্তাফা ছাড় দিতে হয়।তবে গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে কোন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়। এআসনটি থেকে নির্বাচন করেন মহাজোটের প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টারকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিজয়ী হন।দলের একটি সূত্র বলছে,দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেও সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রবীন নেতা সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবিএম গোলাম মোস্তাফ,বর্তমান আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সী,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এম হুমায়ূন মাহমুদ,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার,দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদেও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল ইসলাম(ভিপি কামাল)।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা গোলাম মোস্তাফা মনোনয়ন বিষয়ে জানান, পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ছেন এবিএম গোলাম মোস্তাফা।
দল থেকে কে মনোনয়ন পাবে,সেটি ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী পর দীর্ঘ ৫ বছর দেবিদ্বার উন্নয়নে কাজ করেছেন।এলাকাবাসীর কাছে ওয়াদা কওে ছিলেন এবং দেবিদ্বার সন্ত্রাসমুক্ত করব এবং অবহেলিত দেবিদ্বার উন্নয়ন করবেন।তিনি প্রতিটি ওয়াদা রক্ষা করেছি।নেতাকর্মীদেও একটাদাবী এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূণ্য নির্বাচন।দলের সবাই একজোট হওয়ে এবিএম গোলাম মোস্তাফা কাজ করিতে হবে।এবিএম গোলাম মোস্তাফা পক্ষে বেশি ভাগ দলীয় লোকজন উনাকে দেবিদ্বরের এমপি হিসাবে দেখতে চান। উনার পাওয়ার কিছু নেই, উনি দেওয়ার জন্য রাজনিতি করেন।তিনি একমাত্র ব্যাক্তি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন।তাকেই দলীয় মনোনয়ন দিবে দলীয় সভানেত্রী এটাই স্থানীয় নেতাকর্মীদেও আশা করেন।এবিএম গোলাম মোস্তাফা ছাড়া অন্ন কেউ মনোনয়ন পেলে নৈাকার ভরাডুবির আশস্কা করেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় নেতাকর্মীরা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এর মনোনয়ন বিষয়ে নেতাকর্মীরা জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাও ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্ট সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ সহচর ও ডিজিটাল দেবিদ্বার গড়ার রুপকার হিসাবে তরুন এ সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এর ব্যাক্তি হিসাবে দলমত নির্বিশেষে এলাকায় বিশাল জনপ্রিয়তা রয়েছে।সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল উক্ত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী,বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।এবারোও কুমিল্লা-৪,দেবিদ্বার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নটি তাদেও দখলে থাকবে নেতা-কর্মীদেও বিশ্বাস করে।এই কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তার নেতাকর্মীরা নির্বাচনের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা হুমায়ুন মাহমুদ এর মনোনয়ন বিষয়ে জানান,আওয়ামীলীগের প্রয়োজনে অত্যান্ত দংসময়ের কান্ডারি ১৯৭৫ সালের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১২জন ছাত্রনেতা হেমায়েতউল্লাহ আওরঙ্গেরনেতৃত্বে জীবনের মায়া ত্যাগ কওে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধের ডাক দিয়েছিলেন তাদেও একজন।কাদের-চুন্নু পরিষদেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাতিচ ডাকসুর সদস্য সিনেটে সদস্য, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ১৯৮২ সালে নেত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর কাদের-চুন্নুর নেতৃত্বে যে ১১জন ছাত্রনেতাকে নিয়ে নেত্রী প্রথম গোপন বৈঠক করেছেন তাদেও মধ্যে একজন ১৯৯১ সালের পর নেত্রীর নির্দেশে অভিবাবকহীন দেবিদ্বার আওয়ামীলীগের যিনি হাল ধওে ছিলেন।আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে যিনি সুসংগঠিত করেছেন।যিনি নিতি আদর্শে শির্ষ কোনদিকে নেত্রীর নির্দেশে অমান্য করেনি। কুমিল্লা উত্তর জেলার যিনি এক মাত্র সাংগঠনিক নেতা অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদ।দেবিদ্বার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ন্যায় তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটারের সাথে মতবিনিময় ও পথ সভা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ আসনের রোশন আলী মাষ্টার এর মনোনয়ন বিষয়ে নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির দুর শাসনে সময় ও দলের দুর্দিনে যে নেতা দলকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করছে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টারকেই দলটি মনোনয়ন দিয়ে মুল্যায়ন করবে।এবার হাইব্রিড প্রার্থীকে বাদ দিয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মূল্যায়ন করবে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস করেন।সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদেও সাবেক ভাইচ চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল ইসলাম (ভিপি কামাল) দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে একাধিক সিনিয়র নেতা সূত্রে জানা যায়।
No comments:
Post a Comment