কুমিল্লায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যোগ্য প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা

কুমিল্লা –  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছে কুমিল্লা হাইকমান্ড।    জানা যায়,জাতীয় নির্বাচনের বাকী ১৩ মাস। এরই মাঝে নড়েচড়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন আ’লীগ আর সির্দ্ধান্তহীনতায় ৩ বারের ক্ষমতায় যাওয়া জেল জুলুম নির্যাতনসহকারী বর্ষিয়ান নেতারা। ইতিমধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন আ’লীগের নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্যরা ও রাজনৈতিক দলের নবীন নেতারা। কে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাদ পড়ে যায়,কে বলতে পারবেন। কুমিল্লায় বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন লোকজন সাধারন মানুষের জমি দখল মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী হত্যা মামলায় অন্যকে ফাঁসিয়ে দেওয়া,সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন স্বয়ং নিজ দলের ত্যাগী নেতাদের ভিতর গ্রুপিং সৃষ্টি নির্বাচনী এলাকার সাধারন মানুষের উপকারে না আসা,নিজ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে নাজুক অবস্থা,একাধিক নেতা-কর্মী নিজ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রবাসীদের টাকা আতœসাৎ করা সহ অগণিত অভিযোগ কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে জমা পড়েছে। যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা আ’লেিগর সাধারন সম্পাদক, ক্ষেত্র বিশেষ ইউপি চেয়ারম্যান। এখন চলছে বিভিন্ন উপজেলা নাম মাত্র উন্নয়ন করে প্রকল্পের পুরো টাকা আতœসাৎ করে দিচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মী কথিত ঠিকাদার,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তারা। আর নিজ দলের নেতা-কর্মীদের এমপি’র নির্দেশ দিয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,হানাহানি মারামারিসহ অনৈতিক কোন কাজ করা যাবে না। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সাধারন মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘোষনার পর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অনৈতিক কাজ থেকে সাময়িক বিরত রয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন দলের মধ্যে কোন ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী থাকতে পারবেনা। যে সমস্ত এমপিদের দ্বারা বিগত সময়ে সাধারন মানুষের ক্ষতি হয়েছে এলাকার উন্নয়ন না কওে নিজের আখের পূজিঁ করেছেন,সন্ত্রাসীবাহিনী তৈরী করে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক পার্লামেন্টারিয়ানরা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন। অপর দিকে বিএনপি’র নিতি নির্ধারক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনই হবেনা। তাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জেল জুলুম নির্যাতনকারী ত্যাগী নেতাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল্যায়ন করা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন বিএনপি’র নেতাদের সাথে।