আজ রবিবার উপজেলার নবাবপুর বাজারে অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। জানা যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ অবৈধ জায়গায় মার্কেট করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব দোকান বরাদ্দ দেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এমপির ভায়রা শাহাবুদ্দিন মাস্টার এবং এমপির ভাগিনা উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন এসব মার্কেট থেকে ভাড়া তুলে এমপি পুত্র মুনতাকিম আশরাফ টিটুর নিকট জমা দিতেন। চেয়ারম্যান ও তার পুত্র যুবলীগ নেতা গিয়াস এ থেকে কমিশন পেতেন। জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে আজ এ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বিপুল সংখক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। অবৈধ স্থাপনায় পজেশন নেওয়া এক দোকানদার জানান এমপি সাহেব নিজেই এসব পজেশন বরাদ্দ দেন। তখন বলেছিলেন একশ বছরের জন্য লিজ নেওয়া এ জায়গা। তাই সর্বস্ব বিনিয়োগ করে পজেশন নেন। এখন স্থাপনা উচ্ছেদ করায় তারা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জানতে এমপি এবং তার পুত্রের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাস্টার ও তার পুত্র যুবলীগ নেতা গিয়াস এ ব্যাপারে প্রশ্ন করায় মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
No comments:
Post a Comment