Monday, 31 July 2017

ড. রেদোয়ান সমীপে খোলা চিঠি।চান্দিনার বার্তা:সেয়ার করে জানিয়ে দিন

চান্দিনা তথা কুমিল্লাতে জাতীয়তাবাদী দলের বীজ বপন করতে যে কয়েকজন নেতা। মাঠে গোড়াপত্তন করেছিলেন আপনি তাদের একজন। চান্দিনার বিএনপির দূর্গ গঠন হয়েছিল আপনার হাত ধরেই।বিএনপিতে আপনি যে একটা সেটাপ তৈরী করেছিলেন সেটা দিয়ে যে কোন নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া সম্ভব ছিল। ২০০৬ সালে আপনি বিএনপি ত্যাগ করে এলডিপি নামে নতুন দল গঠন করেন।  আপনি বিভিন্ন সময় বলেছেন যে যারা আজকে চান্দিনার বিএনপির দায়িত্বে আছেন তারাও আপনার সাথে যাওয়ার কথা ছিল।  সেটা সাধারন মানুষ তেমন জানেনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনার এমন কর্মকান্ডে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকরা হতবাক হয়েছিল। আপনি শুধু নেতাদের সাথে পূর্বে যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু কর্মীরা জানত না।  এখানে স্পষ্টত প্রতীয়মান যে আপনি কর্মীদের মনোভাবকে কখনো পাত্তা দেননি। প্রথমে মহাজোট হয়ে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করার প্রাক্কালে তাদের হ্রদয়ে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তা আজও বিদ্যমান।  পরবর্তীতে সেখান থেকে বিচ্যুত হলে পরবর্তীতে বিএনপি জোটে যোগদান করেন।  বিএনপি জোটে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাথে অতীতের তিক্ততা ঘুচাতে মোটামুটি সফল হন।  বিশেষ করে ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচনে না যাওয়ার কারনে ম্যাডাম খালেদা জিয়া আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  কিন্তু শত চেষ্টা করেও চান্দিনা বিএনপির সাথে সম্পর্ক উষ্ঞ করতে ব্যর্থ হন।  এমনকি চান্দিনা উপজেলা বিএনপির ঐক্যের প্রতীক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে নানারকম মামলা দেন।  এমনকি দিনে দিনে এই তিক্ততা আরো বাড়ে। এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে।  জোটের তৃতীয় বৃহত্তম দলের মহাসচিব হিসাবে আপনি জোট থেকে মনোনয়ন এর অন্যতম দাবিদার। সে নমুনা আপনি পূর্বেও দেখিয়েছিলেন।  উপজেলা নির্বাচনে মফিজউদ্দিন ভুইয়াকে পাশ কাটিয়ে যখন তিনটি পদের নমিনেশন এলডিপির জন্য  এনেছিলেন তখন আপনি জাতীয় নির্বাচনের নমিনেশন কে পাবে সে ব্যাপারে একটা সম্মক ধারনা দিয়েছিলেন। আপনি হয়ত ভুলে গিয়ে থাকবেন যে আপনি সাড়া চান্দিনায় চষে বেড়িয়েছিলেন কিন্তু সাধারন বিএনপি সমর্থকরা সাড়া দেয়নি।  বাধ্য হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কে এনেছিলেন,  তাতেও অাশানুরুপ ফল পাওয়া যায় নি।  গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আপনার দলের জন্য পাচটি ইউনিয়নে নমিনেশন এনেছিলেন তাতেও পাত্তা দেননি সাধারন মানুষ। চান্দিনার মানুষের মাঝে আপনার বিশাল পরিচিতি এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।  কিন্তু দল হিসাবে চান্দিনায় এলডিপি ততটা শক্তিশালী নয়।  আপনার কলেজের শিক্ষক ও আত্নীয় সহ গুটি কয়েক তরুণ ছাত্রনেতা আপনার দলের সাংগঠনিক শক্তি।  নমিনেশন পাওয়ার দৌড়ে আপনি এগিয়ে থাকলেও এই সাংগঠনিক ভীত নিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না। ধানের শীষ প্রতীক পেলে মাঠ পুরো অনুকুলে চলে আসবে এটাই আপনার ভরসা। এর বিপক্ষে বলছি না।  কিন্তু মাঠ অনুকুলে তে আর আওয়ামীলীগের লোক দিয়ে আনতে পারবেন না।  অতীত অভিজ্ঞতা বলে চান্দিনা বিএনপি কেন্দ্রীয় আহবানেও আপনার ডাকে সাড়া দেয়নি।  এবারও যে এমন সমস্যা হবে না সে শংকা কি আপনি উড়িয়ে দিতে পারেন।  জাতীয় নির্বাচনে সবাই ধানের শীষের পক্ষে থাকবে, এটাও আপনার আত্নতৃপ্তির কারন হতে পারে।  প্রশ্ন হলো সেটার লেভেল কতটুকু হতে পারে কিংবা গত নির্বাচনে  যে মেকানিজমে ধানেরশীষ সামান্য ভোটে দ্বিতীয় হয়েছিলো সেটারই বা গ্যারান্টি কে দিবে!!!  ইদানিং শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা। আপনি নমিনেশন পাবেন এই ব্যাপার চাউর হয়ে যাওয়ার পর আপনার দলের অতি উৎসাহী কিছু লোক এমন আচরন করছে যা আপনার অমঙ্গল বৈ মঙ্গল বয়ে আনবে না।  মনে রাখবেন আজকের আপনার অবস্থান শুধু আপনার নিজের জন্য,  কারো সাহায্যে নয়।  ভুল ত্রুটি মার্জনীয় হিসাবে দেখবেন।

সম্পাদক
চান্দিনার বার্তা

No comments:

Post a Comment