প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও নিষ্প্রভ কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদল

ছাত্রদলের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক শোডাউন হলেও তেমন কোন কার্যকর কর্মসূচী চোখে পড়েনি কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের। গত ১৪ অক্টোবর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। শুরুতেই ব্যাপক হোছট খায় সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনন্দ ও সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু  কমিটি।  সভাপতির এলাকা দাউদকান্দির সর্বস্তরের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিরোধ করে।  দাউদকান্দিতে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে প্রতিটা ইউনিট।  দাউদকান্দি -মেঘনা আসনের বিএনপির নেতা ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন ও তাকে মেনে নেয়নি। অপরদিকে সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু চান্দিনার স্থানীয় রাজনীতিতে বরাবরই বিএনপির বিপক্ষে তথা এলডিপির রাজনীতিতে সক্রিয়। জেলা বিএনপি ও কুমিল্লা উত্তরের সব থানার সব ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে দেওয়ার জন্য স্মারকলিপি পেশ করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সম্পাদক বরাবর। এ ব্যাপারে তারা ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সাথেও সাক্ষাৎ করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এমতাবস্থায় খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। ফলে কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান জেলা নেতৃবৃন্দদের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি জাকজমকভাবে পালন করার নির্দেশ প্রধান করেন। আদতে তাদের পক্ষে যা কখনোই সম্ভব ছিল না এমনকি এখনও না। জেলা সদর চান্দিনায় হওয়ায় প্রোগাম করা নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সাধারন সম্পাদক তৌহিদ বাবু।  প্রোগ্রাম না করার জন্য তৌহিদ বাবুর অসুস্থতার ভান ধরেন।পরে কেন্দ্রীয় চাপে পড়ে তারা এলডিপির মহাসচিব ডঃ রেদোয়ান আহমেদ এর আস্তানা খ্যাত মাধাইয়া কলেজের অডিটরিয়ামে নামকাওয়াস্তে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে।  জেলা ছাত্রদলের এমন দৈন্যদশা দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সাধারন মানুষের মাঝে জেলা ছাত্রদলের এহেন কর্মকান্ড ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি করে।