প্রতিনিধি, চান্দিনা: চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের
গড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিত্যাক্ত ভবনে দীর্ঘ
চার বছর ধরে চলছে পাঠদান। ২০১৩ সালে চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা অফিস ওই
বিদ্যালয় ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বিকল্প কোন ভবন না থাকায়
সেই ভবনে কয়েকটি শ্রেণির কার্যক্রম চলছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নেই
কোন শৌচাগার এর ব্যবস্থা। ভবন নির্মাণ হবে এমন কথা বহু বছর ধরেই শোনাযাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই বেহাল দশা দেখার কেউ নেই।
এদিকে সম্প্রতি একাধিকবার ভূমিকম্প হওয়ায় শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও
অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিদ্যালয়টিতে খুব দ্রুত একটি ভবন
নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, অফিসকক্ষ
সহ ৪টি কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। ভবনের পিলার (কলামগুলো)
ভেঙ্গে রড দেখা যাচ্ছে। ছাদে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের
দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি কক্ষের দরজা-জানালা নেই। বেঞ্চের
সঙ্কটে মেঝেতে চলছে পাঠদান। ২০১৩ সালে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর
নির্মাণ করা হয়। সে ঘরেও শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জানাযায়, ১৯৯৪ সালে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ
করে। পরে ২০১১ সালে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপ লাভ করে। ২০১৩ সালে
সরকার সারাদেশের রেজিস্টার্ড স্কুল গুলোর সাথে এই স্কুলটিকেও জাতীয়করণ
করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার জানান, বিদ্যালয়টিতে
বর্তমানে ৫জন শিক্ষিকা রয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২
শত জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এবছর পঞ্চম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষায় ২২জন
শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশ করে।
এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা
শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ্ আল মামুন জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
থেকে ওই বিদ্যালয়ের জন্য ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার
টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
No comments:
Post a Comment