Monday, 9 January 2017

চান্দিনায় গল্লাই-কুটুম্বরপুর রাস্তায় গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে ডাকাতি, আহত ৫

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার কুটুম্বপুর থেকে গল্লাই রাস্তার গজারিয়া নামক স্থানে রাত সাড়ে ১২টায় মাইক্রোবাসে ডাকাতি। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। আহতরা কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 
আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ০৭ জানুয়ারী ২০১৭ রাত সাড়ে ১২টায় গজারিয়া সানে দরগা পুলের উত্তর পাশে ঔষধ ফ্যাক্টরীর দক্ষিণ পাশের্^ কদম গাছ কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে মাইক্রোবাসটিকে থামানো হয়। গাড়িটি রাস্তায় দাড়ানোর সাথে সাথে চারদিক থেকে ডাকাতরা মাইক্রোবাসটিকে ঘিরে ফেলে এবং  আমাদের পকেটে থাকা টাকা পয়সা মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। আমরা শুরচিৎকার করতে চাইলে তারা আমাদের মেরে রক্তাক্ত করে এবং জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আহত আ
বুল হোসেন (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার পাক শ্রীরামপুরের বুরগী গ্রামের আ: লতিফের ছেলে। মহিউদ্দিন (৩২)  পিতা আলী আশ্রাফ চান্দিনা থানার গল্লাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। সালাউদ্দিন (২১) পিতা সাইদ আহমেদ একই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামের বাসিন্দা। মনির মাস্টার একই ইউনিয়নের জরুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুটুম্বর থেকে গল্লাই আসা যাওয়ার রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে চান্দিনা-৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশ্রাফ এমপি মহোদয়ের বাড়ীতে ও আসা যাওয়া করা হয়। কিন্তু রাস্তাটিতে রাতের আধারে প্রায় সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা রাতে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যাত্রীদের আহত করে সাথে থাকা নগত টাকা জিনিসপত্র কেড়ে  নেয়। থানার পুলিশ জেনে ও অনেক সময় না জানার মত করে ব্যাপারটি এড়িয়ে যায়।  পুলিশ রাতে কুটুম্বপুর এলাকায় ব্রিজের নিকট একটু এসে আবার সেখান থেকে আবার চলে যায়। তাছাড়া পুলিশ আসে ঠিকই কিন্তু ডাকাতি কমছে না । এই রাস্তায় গত ৬ই জানুয়ারী ২০১৭ তারিখ দিবাগত রাতেও ওজানী মাহফিল থেকে লোকজন বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতদের কবলে পরে। এই ভাবে প্রতি মাসে কয়েকবার ডাকাতি হচ্ছে কিন্তু প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া পুলিশ রাতে সিএনজি ড্রাইভারদের নিকট থেকে পাহারা দেবার নামে সিএনজি প্রতি ত্রিশ টাকা করে নিচ্ছে কিন্তু রাত ১০টার পরে পুলিশ সদস্যরা ডিউটি থেকে চলে যাওয়ায় ডাকাতরা ১০টার পরে ডাকাতি করছে। রাতে পুলিশরা ডিউটি করা কালীন নাম্বার প্লেট ব্যবহার করছে না। এই যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। যার কারণে আমরা তাদের নাম ও জানতে পারছিনা। প্রশাসনের নিকট আমাদের আবেদন পুলিশ টাকা নিচ্ছে আবার ডাকাতি ও হচ্ছে এটা কেন হবে। তাহলে আমাদের জান মালের নিরাপত্তা কোথায় এবং কে দিবে নিরাপত্তা আবার সিএনজি থেকে টাকা নিবে কেন । টাকা নিলে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে না কেন।
                      চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুটুম্বরপুর থেকে গল্লাই যাওয়ার যে রাস্তা সেই রাস্তায় ডাকাতি হচ্ছে আমরা কোন কিছু জানিনা । আমাদেরকে কেউ খবর দেইনি। তাছাড়া আমাদের পুলিশ সদস্য রাত ১২টা পর্যন্ত ঐ রাস্তায় টহল দিয়ে থাকে। পুলিশ সদস্য টাকা নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যদি কোন পুলিশ সদস্য টাকা নেয় তাহলে সেই পুলিশ সদস্যের নামটি দেন আমি সেই পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে হাজতে দেব।

No comments:

Post a Comment